আমি একজন 'ল' মেকার আমাকে আইন শেখাতে আসবেন না : নওশাদ সিদ্দিকী
বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন লস্কর দুষ্কৃতীর ছোঁড়া গুলিতে নিহত হন। সেই ঘটনার জেরে দুষ্কৃতীরা বেশকিছু বাড়ি ভাঙচুর করে ও পুড়িয়ে দেয়। খুনী সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। মঙ্গলবার নওসাদ সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের বাড়ি ও যে এলাকায় বাড়ি ঘর পোড়ানো হয়েছে, সেই আক্রান্তদের সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন। পুলিশের অজুহাত এলাকার বাইরের মানুষদের প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। তবে তারা ১৪৪ ধারা নোটিস বা অন্য কোন বৈধ কাগজপত্র বিধায়ককে দেখাতে পারেনি। সঙ্গত কারনেই প্রশ্ন, একজন আইনসভা'র সদস্যকে এইভাবে বাধা দেওয়া হল কেন? এই ঘটনা যেন বগটুইয়ের মতন ধামাচাপা না পড়ে ও এই খুনের সঠিক তদন্ত যাতে হয়, সেই দাবী নিয়েই বিধায়ক যাচ্ছিলেন। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী রাজনীতি করে বলে আর যাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হল তাঁদের পাশেও তিনি থাকতে চেয়েছিলেন। আইএসএফ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি পুলিশের এই অতি সক্রিয়, অগণতান্ত্রিক আচরণের তীব্র নিন্দা করছে। এই সক্রিয়তা গতকাল ঘরদোর পুড়িয়ে দেওয়ার সময় কোথায় ছিল, সেই প্রশ্নও দল করছে। আক্রান্ত সকল পরিবার যাতে আইনের মাধ্যমে সুবিচার পান এবং যাঁদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সরকার যাতে শীঘ্রই তাঁদের ক্ষতিপুরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে সেই দাবী ISF করছে।
গতপরশু দিনের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে আরো একবার দেখিয়ে দিচ্ছে যে এই রাজ্যের শাসকদল কিভাবে সংখ্যালঘু, দলিত, আদিবাসী মানুষদের নিজেদের মধ্যে মারামারি করিয়ে ও বিজেপি'র জুজু দেখিয়ে তাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি, কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত করে লাঠিয়াল বানাতে চাইছে। এই প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই তারা করে চলেছে। এই প্রক্রিয়ার অবসান ঘটাতেই আইএসএফ রাজনৈতিক ময়দানে নেমেছে। সমাজ সংস্কার, সমাজ পরিবর্তনের দীর্ঘ রাস্তায় পার্টি তাই ঐক্যবদ্ধভাবে এগোচ্ছে। সংখ্যালঘু-আদিবাসী-দলিত সহ আমজনতার অধিকার আজ আক্রান্ত। ৫০০-হাজার টাকার দান-খয়রাতি দিয়ে শাসক দল চায় মানুষকে দাবিয়ে রাখতে। কিন্তু বঞ্চিত মানুষকে তাদের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন করে সমাজ পরিবর্তনের কঠিন কাজ চালাতে আইএসএফ বদ্ধপরিকর। এদিকে, দলের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে আক্রান্ত মানুষদের জন্য কিছু খাবার ও জামা-কাপড় আনা হয়েছিল। সেগুলি এসডিপিও-র উপস্থিতিতে তুলে দেওয়া হয় তাঁর দফতরের কর্মীদের হাতে।
মানুষ গুলি খেয়ে মারা যাচ্ছে আর পুলিশের মুখে হাঁসি, এটা যেন একটা রহস্যজনক ব্যাপার। এই নিয়ে পুলিশের বারবার সচেতন করেন নওশাদ সিদ্দিকী সাহেব। তিনি বলেন ওদিকে মানুষ গুলি খেয়ে মারা যাচ্ছে আর আপনি এদিকে দাঁত কেলিয়ে হাঁসছেন। নওশাদ সিদ্দিকী সাহেবের দাবি টাটা সুমো নিয়ে আমাকে পিষে দিতে চাইছিলেন পুলিশ। আসলে যখন থেকে ডায়মন্ড হারবারে নওশাদ সিদ্দিকী সাহেব লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঠিক তখন থেকে বিভিন্ন রকম ভাবে বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান শাসক দল। আর শাসকদলের হয়ে কাজ করে যাচ্ছে চটি চাটা পুলিশ।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য