দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, পুলিশ ও তৃণমূল নেতাদের দিকে আঙুল স্থানীয়দের
সাত সকালে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের মৌজপোল । বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণ এতটাই প্রহর ছিল যে কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের দেহ পরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আশেপাশে। যে বাড়িতে বাজি তৈরি হতো সেই বাড়িটা বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বাড়ির ছাদ এবং আশেপাশে কলমের তৈরি প্রাচীর। ওই ধ্বংস স্তূপের মধ্যে এখনো পর্যন্ত অনেক মানুষ আটকে পড়ে আছে বলে জানা গিয়েছে। এবং তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে জেসিবি ক্রেন। স্থানীয় মানুষের দাবি মৃত হয়েছে কমপক্ষে চারজনের এবং আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু দেহ। কোথাও গাছের ডালে আবার কোথাও টালি চালে দেখা যাচ্ছে দেহের অংশ। কিছু সংখ্যক মানুষের স্থানীয় হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। মৌস ফুলের কিছু সংখ্যক সাধারণ মানুষের দাবি স্থানীয় বাসিন্দা শামসুর আলী বেআইনি বাজি ব্যবসা চালাতেন। এবং তার সঙ্গে তৃণমূলের একাংশের যোগ রয়েছে। রাজনীতি সূত্রে তিনি দিনের পর দিন বেআইনি বাজি ব্যবসা করতেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার শামসুল আলীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কিন্তু তাতে কোনরকম কোন কাজ হয়নি।
আরও পড়ুন: 👉 গঙ্গাসাগর মেলা ও পূজা মন্ডপে কোটি কোটি টাকা আর ইমাম মুয়াজ্জিনদের ডেকে অপমান, মুখ খুললেন হোসেন গাজী
শুধু তাই নয় স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বহু মানুষের প্রাণ হারানোর আশঙ্কা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি শামসুল আলী শুধু বেআইনি বাজি তৈরি করতেন তা নয় তার সাথে সাথে যেসব বাজি নিষিদ্ধ সেইসব বাজিও তৈরি করতেন তিনি। শামসুর আলী চেয়ে ছিলেন আরো উন্নত ধরনের বাজি বানিয়ে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে।
ঘটনাস্থলে যান বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য যে মানুষগুলো প্রাণ হারিয়েছে তার জন্য দায়ী মমতা ব্যানার্জি সরকার মমতা ব্যানার্জি সরকার কি চাইছে আস্তে আস্তে বাংলাটাকে শ্মশান বানাতে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন তিনি ঘটনাস্থলে এসে সমস্ত ডকুমেন্ট লিখিত আকারে অমিত সাহার কাছে পাঠাবেন এবং এই ঘটনা কে NIA তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য