তৃণমূল নেতাদের চরিত্র কেমন জানেন ? মুখে মুসলিম প্রীতি আর মনে RSS রীতি
তৃণমুলের মুখে মুসলিম প্রীতি আর মনে RSS রীতির এই বিষয়ে একটা সত্য ঘটনা পড়ুন। মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার অন্তর্গত রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে, পঞ্চায়েত সাধারণ নির্বাচন-২০২৩, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংরক্ষিত আসন অনুযায়ী রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ‘ওবিসি মহিলা' সংরক্ষিত ছিল ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্বাচন কর্তৃক বুথভিত্তিক আসন সংরক্ষিত তালিকা তে রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২জন ওবিসি মহিলা সংরক্ষিত ছিল তার মধ্যে দুটি আসনই ওবিসি মুসলিম সংরক্ষিত। যার মধ্যে একটি ওবিসি আসনে নির্দল জয়ী হয়েছে অন্যটিতে তৃণমূল। তা স্বত্ত্বেও সাধারণ আসন থেকে জয়ী নির্দল প্রার্থীকে যিনি হিন্দু ওবিসি সার্টিফিকেট ধারী তাকে ‘প্রধান’ করেন। যদিও এই পঞ্চায়েতে এককভাবে শাসকদল জয়ী হতে পারেনি। মোট আসন সংখ্যা- ১৬, তার মধ্যে তৃণমূল- ৬, বিজেপি-৪, কংগ্রেস১, নির্দল- ৩, সিপিআইএম- ১, আইএসএফ- ১
আরও পড়ুন: 👉 TMC ছেড়ে ISF যোগ দিলেন আদিবাসী মহিলা
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের সময় তৃণমূলের পক্ষে-৮, অন্যান্য- ৮ হয়ে যায় এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে নির্দল থেকে জয়ী হিন্দু মহিলা প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করা হয় এবং বিরোধী থেকে বিজেপি প্রার্থীদের মধ্য থেকে একজন নির্দল থেকে জয়ী মুসলিম মহিলা প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করেন। এরপর তৃণমূলের সদস্যরা সকলকে মারধর করে এবং বিজেপি প্রার্থীদের কে বের করে দেয় এবং বাকিদের কে ও হুমকি দিয়ে, ভয় দেখিয়ে পঞ্চায়েতের মধ্যে আটকে বোর্ড গঠন করে নেয়। বোর্ড গঠনের কয়েকদিন পর এক তৃণমূল নেতা হিন্দু এলাকাতে মিটিংয়ে বলছেন, বিজেপিদের সাহস কি ওরা মুসলিমদের নাম প্রস্তাব করে প্রধানের জন্য, রঙ্গিলাবাদে ওরা মুসলিম প্রধান করতে চায়। তবে শুনে রাখুন যতদিন আমি বেঁচে আছি ততদিন রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে কখনও মুসলিম প্রধান হতে দেব না। অথচ এই রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত তথা মগরাহাট পশ্চিমে তাকে মুসলিমরা ও শ্রদ্ধা করে থাকেন এবং তার মনে জাতি বিদ্বেষের ছাপ স্পষ্ট। এমন বহু তৃণমূল নেতা আছে যারা মুখে সমপ্রীতির বার্তা দেয় এবং মনে জাতি বিদ্বেষ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। সুতরাং এদের থেকে দূরে থাকুন, না বরং তৃণমূল থেকে দুরে থাকুন।
এই হচ্ছে তৃণমূলের মুখে মুসলিম প্রীতি এবং মনে RSS রীতি ।
লিখেছেন 🖊️ খয়রুল
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য