তৃণমূল নেতার দাদাগিরি বন্ধ হল কারখানা
কেশরী পেপার বোর্ড নামে সাত মাসের একটি পিজবোর্ডের বাক্স তৈরির কারখানা বন্ধ হয়ে গেল তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে ঠিক এমনই অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের বলরামে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জলপাইগুড়িতে এই কারখানা খোলেন আসামের এক শিল্পপতি। শিল্প কর্তৃপক্ষের দাবি ভিন রাজ্য থেকে আসা ঠিকা শ্রমিকরা সরবরাহার জন্য প্রথমে হালিম প্রধান এর দারস্ত হন। প্রথমে মাথাপিছু নিতেন ৭০০০ টাকা করে ওই শাসক নেতা। তিন মাস পরে লোভী ওই নেতা ১২০০০ টাকার দাবি করেন। শিল্প কর্তৃপক্ষ দিতে রাজি না হওয়ায় বাড়ে তৃণমূল নেতার অত্যাচার শুরু হয় হুমকি দেওয়া।
আরও পড়ুন: 👉 দাদা পীরের ভক্ত ও মূরীদ গনের ডাকে প্রতিবাদ মিছিল
29 আগস্ট অভিযোগ কারখানার মেশিন অপারেটর কে রিগগ্র করে সদ্য নিযুক্ত এক শ্রমিক। স্থানীয় থানায় অভিযোগের পাশাপাশি অভিযুক্ত শ্রমিক কে বহিষ্কার করা হয়। তারপর থেকে স্থানীয় হালিম প্রধানের হুমকি আসতে থাকে আর তাতেই শ্রমিকরা কাজে আসা বন্ধ করে দেয়। ৩০ শে আগস্ট থেকে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত শিল্প কর্তৃপক্ষ।
নর্থ বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ পাল বলেন মমতা ব্যানার্জি সর্বসময় বলে যাচ্ছে কারখানার হার বাড়াতে হবে কিন্তু কারখানা বাড়বে কি করে? যদি স্থানীয় নেতৃত্বদের মাধ্যমে এতো অত্যাচার হয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন যারা কারখানা তাড়ানো পার্টি তাদের আমলে নতুন কারখানা হবেই বা কি করে। কোন পরিবহন ব্যবস্থা নেই কোন সুযোগ সুবিধা নেই যার কারণে রাজ্যের প্রায় ৪৫ লক্ষ মানুষ ভিন রাজ্যে গিয়ে তারা তাদের রুজি রোজগার করে সংসার চালাচ্ছে। কেন তারা বাড়ির ভাত খেতে পারছে না কেন ভিন রাজ্যে গিয়ে তাদের কর্ম করে খেতে হচ্ছে এর জন্য দায়ী একমাত্র রাজ্যের শাসক দল।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য