চোপড়ায় আসলে কি ঘটেছিল ? কেন জ্বালানো হল আদিবাসিদের ঘর ? কারা জ্বালালো ? সব তথ্য জেনে নিন !
চোপড়া ব্লকের হত্যাগঞ্জ এলাকার চা বাগান দখলকে কেন্দ্র করে গত একুশে আগস্ট জমি মাফিয়া রা বোমা গুলি ছোড়ে। মাফিয়া দের ছোড়াগুলিতে আহত হয়েছিলেন ১৭ জন আদিবাসী। বেশ কয়েকজনকে শিলিগুড়ির কাছে থাকা উত্তরবঙ্গ কলেজ হসপিটালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনার পরে জমি মাপিয়ারা আদিবাসীদের ঘরবাড়ি জামা কাপড় বই খাতা সব কিছু আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। নিয়ে যায় সংরক্ষণ করে রাখা সম্পূর্ণ আহারের খাদ্য থেকে শুরু করে টাকা-পয়সা সোনা গয়না সবকিছু। ভেঙে ফেলে এইসব পরিবারের বাড়ির আশে পাশে থাকা পানীয় জলের নলকূপ গুলো। দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে হাহাকার করছে আবাল বৃদ্ধ শিশু। যার কারনে চরম অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন এই সব আদিবাসী পরিবার। আদিবাসীদের এই দৃশ্য গুলি সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখার পর ছুটে যান চোপড়ার ওই চা বাগানে এবং সেখানে অত্যাচারিত আদিবাসীদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান ভাঙ্গড়ের বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী সাহেব।
সেখানে নিরন্ন আদিবাসীদের খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ালেন আর তাতেই ভগবান, গড, আল্লাহ, ঈশ্বর যাই বলুন না কেন সেটাই হয়ে গেলেন তিনি আদিবাসীদের কাছে। জমি মাফিয়া দের দাপটে পড়েছেন আদিবাসী মানুষ। জমি বাড়ি ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে খোলা আকাশের নিচে ট্রিপল টাঙিয়ে পিতৃ পুরুষদের জমি পাহারা দিচ্ছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদের যন্ত্রণার সহমর্মী হতে ভাঙ্গড়ের বিধায়ক তাদের কাছে যান তাদের অত্যাচারের কথাগুলো দেখে শুনে ভাঙ্গড়ের বিধায়কের মনে দাগ কাটে এবং তাদের জন্য খিচুড়ি রান্নার উদ্যোগ নেন। নিজে হাতে খিচুড়ি রান্না করেন এবং একটা একটা করে প্লেট তুলে দেন ক্ষুধার্ত সেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের আবাল বৃদ্ধ সকল মানুষের হাতে। বেশ কিছুদিন অনাহারে থাকার পর আহার পেয়ে তারা বিধায়ককে ভগবানের সাথে তুলনা করলেন। কিন্তু এই প্রশংসা মানতে রাজি নন বিধায়ক। উল্টে ভাঙ্গরের বিধায়ক সেই সকল আদিবাসী মা-বোনেদের কে বলেন আমি আপনাদের সন্তানের মত আপনারা বিপদে পড়েছেন তাই আপনাদের পাশে আমি এসে দাঁড়িয়েছি। আদিবাসী মা-বোনেরা একে একে ভাঙ্গড়ের বিধায়কের মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য