বসন্তকালীন ত্বকের যত্ন: স্বাস্থ্যকর ঠোঁটের জন্য টিপস । এই বসন্তে সুন্দরীদের ঠোঁটের যত্ন করণীয় !
আগুন লাগা পহেলা ফাল্গুন উদযাপনের মাধ্যমে প্রকৃতি ও তনুমনে লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া। যদিও সৌন্দর্য পিপাসু অনেকের ঠোঁটে এখনও শীতের শুষ্কতা রয়েই গেছে। তাহলে এই বসন্তে জরুরী হলো ঠোঁটের বিরক্তিকর এই সমস্যার সমাধান। বসন্তে নারীদের ঠোঁটের যত্ন নিয়েই এই লেখা।
ত্বক পরিচর্যার সঠিক এবং কার্যকর সময় হলো রাতে ঘুমের আগে। কেননা ঘুমের সময় মানবদেহের সকল অঙ্গ - প্রত্যঙ্গের সঙ্গে ত্বকও নিরাময় প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। রাতে দাঁত ব্রাশ করার পর নরম সুতি কাপড় ভিজিয়ে ঠোঁট হালকা করে ঘষে নিন। এক্ষেত্রে আধা চামচ চিনির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ঘষলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এরপর ভেজা ঠোঁটেই গ্লিসারিনের সঙ্গে সমপরিমাণ গোলাপজল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। শুকিয়ে গেলে ভালো মানের লিপবাম লাগিয়ে ঘুমাতে যান। এতে ভালো ফল পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত ঘুমের পর সকালে উঠে খালি পেটে দুই - তিন গ্লাস পানি খাবেন। আর ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্যে নাশতা সেরে ফেলতে হবে। এবার বাইরে যাওয়ার আগে আরেকবার ঠোঁটে গ্লিসারিন - গোলাপজলের মিশ্রণ লাগিয়ে কয়েক মিনিট পর টিস্যু দিয়ে হালকা চেপে রাখুন। তারপর লিপস্টিক লাগান। শুষ্ক ঠোঁটের জন্য অবশ্যই ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ভালো মানের লিপস্টিক বেছে নিতে হবে। বাইরে বের হওয়ার সময় ব্যাগে লিপবাম রাখতে ভুল করবেন না। ঠোঁট শুষ্ক মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে লিপবাম লাগান।
এসব তো গেল ডেইলি রুটিন। সাপ্তাহিক ঠোঁটের যত্নের ক্ষেত্রে সপ্তাহে দুই - তিন দিন লেবুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি বা লিপবাম লাগান। শুষ্কতার কারণে যদি ঠোঁট কালো হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে গোলাপের পাপড়ি বেটে দুধের সর ও মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ফ্রিজে রাখুন। এক সপ্তাহ প্যাক ভালো থাকবে। ওই প্যাক প্রতিদিন সুবিধাজনক সময়ে ঠোঁটে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে ধুয়ে নিন। এর ফলে ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙের সঙ্গে কোমলতাও ফিরে আসবে।
শুষ্ক আবহাওয়া ছাড়াও কিছু বিষয় ঠোঁটের শুষ্কতার কারণ হতে পারে। জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর অভ্যাস এর মধ্যে অন্যতম। যদি এই বদ অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে সচেতনভাবেই এটি কমিয়ে দিতে হবে। এক দিনেই বিষয়টি বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই সময় নিয়ে ধীরে ধীরে চেষ্টা করলে আশানুরূপ ফল মিলবে। আরেকটু কথা স্বাস্থ্যকর ঠোঁট চাইলে ধূমপান করা চলবে না। তাছাড়া দেহে পানির ঘাটতি থেকে ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে। সে জন্য প্রতিদিন ১০ - ১২ গ্লাস পানি ও পানীয় খেতে হবে।
অন্যদিকে, পুষ্টিহীনতা কিংবা ভিটামিনের অভাব থাকলেও কিন্তু ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে। আর সচেতন পরিচর্যার পরেও ঠোঁটের শুষ্কতা না কমলে ভিটামিনের অভাব আছে কি না জেনে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে।এছাড়া প্রতি রাতে শোবার আগে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সঙ্গে এক চিমটি গুঁড়া হলুদ মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। আর দিনে একটি মৌসুমী টক ফল ও এক গ্লাস লেবুর শরবত ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য