Followers

Ad

চতুর্থ দিনের শেষে পোলেরহাট ২ নম্বরে রক্তদাতার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১২০৯ জন


চতুর্থ দিনের শেষে পোলেরহাট ২ নম্বরে রক্তদাতার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১২০৯ জন


          কিছু সংখ্যক রাজনৈতিক কারবারিরা তাদের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য ভাঙড়কে কলুষিত করে রাখার চেষ্টা করছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারাই এখানে বহিরাগতদের এনে বোমা গুলি পিস্তল দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টিকারীদের শান্তির ঘুম কেড়ে নিতে হবে; আর সেটা হবে আইনি পথেই। আজ ভাঙড়ের দক্ষিণ গাজীপুরের বিলধারী পাড়ায় রক্তদান মহোৎসবের চতুর্থ দিনের উদ্বোধন করে এলাকার বিধায়ক তথা ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকী একথা বলেন। তিনি বলেন, সময়ই কথা বলবে। অশান্তির কারবারিদের সঠিক সময়ে জনগণ জবাব দিয়ে দেবেন। এদিনও তিনি রক্তদানকে কেন্দ্র করে কোনরকম সংকীর্ণ মানসিকতার বিরোধিতা করেন। বলেন, এই নিয়ে কোন রাজনীতি করা চলবে না। রক্ত সবার দরকার হয়। 

         নওসাদ সিদ্দিকী  বলেন, ভাঙড়ের উন্নয়নের জন্য তিনি সবসময় সচেষ্ট। শাকসবজি সংরক্ষণের জন্য হিমঘর নির্মাণ, ভাঙড় এলাকার বন্ধ হয়ে থাকা পাঁচটি গ্রন্থাগার চালু করা, মেয়েদের হস্টেল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ সহ চালু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ, বিভিন্ন স্থানে কংক্রিটের সেতু নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ে বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির মন্ত্রী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ও চিঠিপত্র তিনি দিয়েছেন। কিন্তু অনেকসময়ই অপদার্থ এই সরকার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কিন্তু ভাঙড়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টা করে যেতে হবে। 

        এখানকার চাওয়া-পাওয়া, অভাব-অভিযোগের কথা শাসকদলের কাছে তুলে ধরার জন্য কোন খামতি তিনি রাখবেন না বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়ে দেন। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য কুতুবুদ্দিন ফাতেহী বলেন, শাসকদল আইএসএফের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ে পেরে উঠছে না। তাই তারা হিংসার আশ্রয় নিয়ে আমাদের কর্মসূচিগুলিকে বানচাল করতে চাইছে। এছাড়াও বক্তব্য দেন বিশিষ্ট শিক্ষক ও সমাজকর্মী মফিজুল ইসলাম, তিনি রক্তদান মহোৎসবের প্রশংসা করে  বলেন, কোন রাজনৈতিক দল বা কোন এনজিওর মাধ্যমে প্রোগ্রাম হচ্ছে এটা না দেখে সামাজিক প্রোগ্রামে সকলকে এগিয়ে আসা দরকার ও সহযোগিতা করা দরকার।

        আজকের রক্তদান শিবিরের আয়োজক ছিল আইএসএফের পোলেরহাট ২ নম্বর আঞ্চলিক কমিটি। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা পরিষদ সদস্য ও আইএসএফ নেতা রাইনুল হক সহ অন্যান্য আঞ্চলিক নেতৃত্ব। এখানে ৪২১ জন রক্ত দিয়েছেন। চতুর্থ দিনের শেষে রক্তদাতার সংখ্যা ১২০৯ জন। ১৭/১২/২৩

আমরা হোয়াটঅ্যাপে আছি  Clikc to join

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

CLOSE ADS
CLOSE ADS