Followers

Ad

সিরাজের পরিচয় কি ? সিরাজের আর্থিক অবস্থা কেমন ?


সিরাজের পরিচয় কি ? সিরাজের আর্থিক অবস্থা কেমন ?

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরষ্কারের সমস্ত টাকা শ্রীলঙ্কান গ্ৰাউন্ড-স্টাফদের ডোনেট করলেন 
মোহাম্মদ সিরাজ। মোঃ সিরাজ তার ম্যান অব দ্যা ম্যাচের সমস্ত টাকা মাঠকর্মীদের দিয়ে একজন বড় মনের মানুষের পরিচয় দিলেন যা এর আগে কোনদিনও দেখা যায়নি। আসলে মেন কথা হল গরিব না হলে গরিবের দুঃখ বুঝতে পারেনা। মোহাম্মদ সিরাজ সেরকমই একজন গরিব পরিবার থেকে উঠে আসা উদয়মান প্লেয়ার। যার ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তার বাবা মোঃ ঘউস।

        পারিশ্রমিক বলতে ছিল কয়েকশো টাকা মাত্র। স্থানীয় ম্যাচে বলা ভালো খেপ খেলার সুবাদে সেই সামান্য কিছু অর্থ আসত ঘরে। এ দিকে ছেলের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা বজায় রাখতে গিয়ে নাভিশ্বাস অটোচালকের পরিবারে। ক্রিকেটের নেশার জন্য মা বকাবকি করলেও হাল ছাড়তে নারাজ ছিলেন সিরাজের বাবা অটোচালক মহম্মদ ঘউস। ছেলের স্বপ্নপূরণে দিনভর কঠোর পরিশ্রম করতেন।অতিরিক্ত ভাড়া খাটতেন যাতে ছেলের ক্রিকেট প্রশিক্ষণ বন্ধ না হয়ে যায়।
       জীবনের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরাজের ইকনমি রেট ছিল ৭.৬০। বাউন্ডারি একডজন। তিনটি ওয়াইড বলও করেন। সব মিলিয়ে একেবারেই ভরসা করার মতো পারফরম্যান্স ছিল না। তবে আস্থা হারাননি বিরাট কোহালি। আইপিএল-এ বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক হিসেবে সিরাজের হাতে তুলে দিয়েছেন নতুন বল।গত আইপিএলেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স- এর হয়ে দুরন্ত বোলিংয়ে ৮ রানে ৩ উইকেট নেন সিরাজ।কেকেআর ম্যাচের আগের দিনই হায়দরাবাদের এক হাসপাতালে ভর্তি হন সিরাজের বাবা। সেই মানসিক প্রতিকূলতার কোনও ছাপ সিরাজের পারফরম্যান্সে ছিল না। বা অস্ট্রেলিয়া সফর। ২০ নভেম্বর সিডনিতে অনুশীলনের পর প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী ও অধিনায়ক বিরাট কোহালির কাছে বাবার মৃত্যুর খবর শোনেন সিরাজ। বায়ো বাবলের জন্য বাবার শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারেননি সিরাজ। বাকিটা ইতিহাস।প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে অভিষেক ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ৫ উইকেট নেওয়ার এলিট তালিকায় অচিরেই ঢুকে পড়েন তিনি । ২০২০-২১ মরসুমে ৫ টি টেস্টে ১৬ টি উইকেট নিয়ে চমকে দেওয়ার সাথে সাথে একসময় জুতো কেনার টাকা না থাকা থেকে বাবার মৃত্যু সত্ত্বেও ক্রিকেট মাঠে দৃপ্ত পদচারণা হোক বা ক্রিকেটের মক্কায় ইংরেজ উন্নাসিকতা থেকে বুমরার অভাব ঢেকে দেওয়া - চুম্বকে সিরাজের জীবন যেন একটা টানটান থ্রিলার যেখানে উত্থানের সাথে পতন যেমন আছে তেমনই আছে পতনের পরেই আছে উত্থান। যা নেই তা হলো হাল ছাড়া , হতাশ হওয়া আর রান আপে ছুটতে ছুটতে হঠাৎ থেমে যাওয়া।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

CLOSE ADS
CLOSE ADS