আব্বাস সিদ্দিকী ভাইজান কি কারণে এবং কোথায় বসে আছেন ?
আব্বাস সিদ্দিকী ভাইজান হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যেটি হল হায়দারাবাদ থেকে ২৪ কিলোমিটার (১৫ মাইল) দুরে শামসাবাদ নামক স্থানে অবস্থিত। হায়দ্রাবাদে জলসা করে ফেরার পথে এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে সেখানকার ভক্ত অনুরাগীদের নিয়ে বসে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কারণ তখন ও ফ্লাইটের অনেকটা সময় বাকি ছিল। যেসব ভক্ত অনুরাগীদের আপনারা এই মুহূর্তে ফটোতে দেখতে পাচ্ছেন তারা আর কেউ না বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাওয়া এইসব পরিযায়ী শ্রমিক তারা বছরের পর বছর হায়দ্রাবাদের বিভিন্ন এলাকায় থাকেন এবং সেখানে তাদের জীবিকা অর্জন করে বছরে একটা সময় তারা ইসলামিক ধর্মীয় সভার আয়োজন করেন সেখানে প্রতি বছর আমাদের বাংলার আলেমদেরকে নিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে তাদের আয়োজন করা অনুষ্ঠান সাফল্যমন্ডিত করে।
সকলে অবগত আছেন হায়দ্রাবাদে এই জলসায় যাওয়ার কয়েকদিন আগে ফুরফুরা শরীফে ঘটে গিয়েছিল খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যে ঘটনা বাংলার প্রত্যেকটা মানুষের দিলে বা অন্তরে গেঁথে গিয়েছে । যে ফুরফুরা শরীফে ব্রিটিশ আমল থেকে নিয়ে আজও পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল বা কোন সন্ত্রাসবাদী ফুরফুরা শরীফে হানা দিতে পারিনি। পুলিশি নির্যাতন করতে পারিনি। কিন্তু বর্তমান শাসক দল সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে । তারা তাদের শক্তি বহল রাখতে এইরকম কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ তারা দেখছে বাংলা তথা আশে পাশের সমস্ত রাজ্যের মানুষ আস্তে আস্তে ফুরফুরা শরীফের ভাইজানেরা যে দলটা প্রতিষ্ঠিত করেছে সেই দলের পিছনে ছুড়তে লেগেছে তাই এই দলকে দমন করার জন্য বর্তমান শাসক দল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হানাহানি কাটাকাটি করার পরেও যখন কোন ফল পেল না তখন তারা অবশেষে ফুরফুরা শরীফের দিকে আঙ্গুল তুলতে বাধ্য হয় এবং সেখানে পুলিশ দিয়ে সাধারণ মানুষ তথা পীর সাহেব পীরজাদাদের উপরে অত্যাচার করে।
যেহেতু ফ্লাইটের সময়ের অনেক আগে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাই হায়দ্রাবাদের ভক্তবৃন্দদের নিয়ে অবসর সময় কাটানোর সাথে সাথে তাদের সাথে আলোচনা করছিলেন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের ঘটনা সমূহ। সাথে সাথে আমাদের প্রাণপ্রিয় ছোট ভাইজান তথা ভাঙ্গড়ের বিধায়ক এবং আইএসএফ পার্টির চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী ভাইজানের কথাও তাদের সম্মুখে উল্লেখ করেন।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য