হাসানুর মোল্লা এবং রেজাউল গাজীর বাড়িতে পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী সাহেব
এই মুহুর্তের বড় খবর ভাঙ্গড়ের বিধায়ক তথা আই এস এফ চেয়ারম্যান পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী সাহেব ভাঙ্গড়ে এসে তিনি সর্বপ্রথম মা-বোনেদের কে নিয়ে থানা ঘেরাওর কথা উল্লেখ করেন। থানার পুলিশ যেভাবে গ্রামে গ্রামে গিয়ে টহল দিচ্ছে এবং মা-বোনেদের সামনে তাদের বিভিন্ন রকম ভাষায় গালি গালাজ করছে তারই প্রতিবাদে এই থানা ঘেরাও বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ সাধারণ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে এসে তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন রকম কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার কথা গ্রামবাসীরা জানালে এর প্রতিবাদে পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী সাহেব জানান যে, যে কাগজে সই করতে বলছে সেই কাগজের ফটো তুলে আমাকে আগে পাঠাবেন আমার কাছ থেকে confirmation পাবে তারপর সেই কাগজে সই করবে। হয়তো আপনাদের জায়গাগুলো এয়ারপোর্ট এর কাছে বিক্রি করার জন্য তারা আপনাদের থেকে এই সই নিতেও পারে কিংবা এনআরসি সিসিএ এর জন্যেও সই করিয়ে নিতে পারে।
ভাঙ্গড়ের বিধায়ক তথা আই এস এফ চেয়ারম্যান পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী সাহেব ভাঙ্গড়ে আসেন তিনি তানার অঙ্গীকার মতো আগে থেকে তিনি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়েছিলেন যে আমি আমার বিধানসভায় যাব এবং গত নির্বাচনে যারা দেশের জন্য প্রাণ হারিয়েছে হাসানুর মোল্লা এবং রেজাউল গাজীর বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবার-পরিজনদের কাছে খোঁজ খবর নেব সাথে সাথে আমার বিধানসভার সমস্ত গরিব দুস্থ অসহায় খেয়ে দেখে মানুষের যা যা আবেদন নিবেদন থাকবে সবগুলো আমি সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করব।
আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা ভাঙ্গড়ের বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী সাহেব যখন ভাঙ্গড়ের মৃতদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন তখন ভাঙ্গড়ে চলছিল ১৪৪ ধারা এবং দফায় দফায় পুলিশের সাথে বিভিন্ন রকম ভাবে বাঁধবিবাদও হয় এই ভাঙ্গড়ের বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী সাহেবের সাথে তারপর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কলকাতা হাইকোর্টে এবং হাইকোর্টের বিচারপতি রায় দিয়েছেন যাওয়ার । তারপর থেকে তিনি তার বিধানসভায় প্রতিনিয়ত গিয়ে তানার বিধানসভার সর্ব মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের কাছ থেকে সব রকম খবরা খবর জানছেন তারা কেমন আছেন তাদের কি প্রয়োজন এবং কি হলে তারা খুশি হয়, এই সব বিষয় নিয়ে তারা বিধানসভার সকল জনসাধারণের সাথে আলাপ আচরণ করেছেন।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি ভাঙ্গরের অধিকাংশ জায়গায় নির্দল প্রার্থীরা আইসেপের সমর্থন নিয়ে তারা ভোটে জিতেছিল কিন্তু ভোটে জেতার পর এখন তারা টাকার লোভে বর্তমান শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূলের ছায়াতলে যেতে চাইছে তবে তাদের উদ্দেশ্যে বলে রাখি তুমি যে জনগণের মনোনীত হয়েছো তারা ভেবেছিল তুমি আইএসএফ এর সাথে থাকবে তাই তারা তোমাকে ভোট দিয়েছে কিন্তু আজকেরে তুমি তোমার নিজের আত্মশুদ্ধি করার জন্য যে বর্তমান শাসক দলের দিকে পা বাড়াতে চলেছ তাহলে তোমার পরিণতিটা কি হতে পারে একবার নিজে থেকে ভালো করে ভেবে নেওয়া দরকার।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য