পবিত্র মহরম উপলক্ষে ফুরফুরা দরবার শরীফের মাঝের পাড়ায় জলসা করলেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ভাইজান।
যে মহরম উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ বিভিন্ন রকম আনুষ্ঠানিকভাবে এই মহরম দিনটা পালন করে। কোথাও হয়তো ছুরি খেলা কথা হয়তো লাঠি খেলা, এইসব বিভিন্ন রকম খেলার মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত হয়। কিন্তু যারা সরাসরি আহলে সুন্নাতুল জামাতের অনুসারী তারা এইসব বিভিন্ন রকম খেলা গান বাজনা জুলুস না করে তারা এই পবিত্র দিনে পবিত্র জলসা মাহফিল দিয়েই তাদের দিনটা অতিবাহিত হয়।
১০ই মহররম দিনটি মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন কারণ এই দিনে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে।
* সাত আসমান জমিন সৃষ্টি করা হয় এই দিনে!
* আকাশ হতে প্রথম পানি বর্ষন হয় এই দিনে!
* আদম আঃ সৃষ্টি করা হয় এই দিনে!
* আদম আঃ জান্নাত হতে বিতারিত করা হয় এই দিনে!
* আদম আঃ দুয়া কবুল করা হয় এই দিনে!
* নুহ আঃ কে প্লাবন হতে মুক্তি দেয় এই দিনে!
* হজরত সোলাইমান আঃ কে বাদশাহী দেয় এই দিনে !
* হজরত আউব আঃ রোগ হতে মুক্তি পায় এই দিনে!
* হজরত ইব্রাহিম আঃ আগুন হতে নাজাত পায় এই দিনে!
* হজরত মুসা আঃ আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথন করে এই দিনে।
এইসব বিষয়ের উপরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ভাইজান জলসায় গ্রাম এবং বহিরাগত প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিল এবং যদি প্রচার প্রসার করা হতো আরো প্রচুর লোকের সমাগম হত তবে একটা বিষয় যেহেতু বর্ষাকাল আর প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টির ফলে মানুষ কোথাও বের হওয়ার মতো সুযোগ পাচ্ছে না তারপরেও মাহফিলে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে।
তাই সর্বোপরি মুসলমান মানুষের উদ্দেশ্যে বলবো সকলে বিভিন্ন রকম দ্বন্দ্ব-বিবাদ হিংসা উদগ্র ছেড়ে সকলে ইসলামের পথে ধাবিত হন। একজন মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই এই কথা মেনে সকলে সকলের সাহায্য সহযোগিতা করে বাঁচার চেষ্টা করুন এবং আখেরাতে কামিয়াবী হন এই দোয়া করি সকলের সুস্থ থাকবেন সুস্থ থাকবেন। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য