ভাঙড়ে ঢুকতে দিলো না, বিধায়ক নওশাদ কে নোটিশ দিল পুলিশ।
টানা ৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর বাধ্য হয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে গেলেন ভাঙ্গড়ের বিধায়ক তথা পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী সাহেব । সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন বাংলায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে যেখানে এক থেকে দুজনের বেশি কাউকে যেতে দেওয়া হবে না আর সেই মতো আমি আমার গাড়ির ড্রাইভার দুজনেই যাচ্ছিলাম সাথে ছিল প্রশাসনের আরো তিনজন কর্মী তাদেরকে এই গণনার মধ্যে ধরা হয় না তারপরেও আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে এটা শুধুমাত্র হেনস্তা ছাড়া অন্য কিছু নয়। যেখানে তার আগের দিন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা মিটিং করছে সেখানে যেতে পারছে না সেখানকার বিধায়ক পুলিশ অফিসার কে জিজ্ঞেস করার পর তিনি বললেন অন্য কোন সাইট থেকে কেউ প্রবেশ করছে কি বলতে পারব না কিন্তু আমার সাইট থেকে আমি যতক্ষণ ডিউটিতে আছি আমার সাইট থেকে কোনরকম কোন সমস্যার সম্মুখীন আমি হতে দেব না যার কারণে আটকে রাখা হয়েছিল বিধায়ককে ।
ভোট গণনার দিন যেসব আইএসএফ দলের কর্মীরা এবং প্রার্থীরা তাদের জীবন হারিয়েছে সেইসব মানুষের পরিবারের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে ফুরফুরা দরবার শরীফ থেকে আসছিলেন ভাঙ্গড়ে । সাথে সাথে ভাঙ্গরের অফিসে থানার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকার কারণে সেই সব কাজগুলো মেটানোর জন্য এসেছিলেন ভাঙ্গরের তারপরেও তা নাকি আসতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ প্রশাসনের যে সমস্ত আধিকারিকরা ছিলেন তাদের কাছে একটা নোটিশ দেয়া হয়েছিল এবং সেই নোটিশে কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা ছিল সেই কয়েকজন ব্যক্তি ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তবে দুঃখের বিষয় অনেক দেখার পরেও সেই নোটিশে নওশাদ সিদ্দিকীর নাম ছিল না তাই বিধায়ককে বাধা দেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে।
দীর্ঘ আট ঘন্টা অপেক্ষা করার পর কলকাতার অফিসের দিকে রওনা দিলেন এবং সেখান থেকে রাজ্যপাল কে এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে মেইল করবেন এবং আগামী দিন আবার ভাঙ্গরে আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য