সাবধান ! সাপের ছোবল থেকে বাঁচার উপায় ? সাপ কেন আসে বাড়িতে ?
আপনার বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা ঝোপ জঙ্গল প্রথমে সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার করে রাখুন পারলে সময় মতো সেই জায়গাগুলোতে ব্লেসিং পাউডার দিয়ে এবং নেপথলিন গুঁড়ো করে তাঁতে কেরোসিন তেল মিশিয়ে ওই পরিষ্কার জায়গাগুলোতে স্প্রে করে দিন। কারণ সমস্ত রকম সাপ ওই ঝোপ জঙ্গল জায়গায় গুলোতে থাকতে ভালোবাসে। ওই সব জায়গা তাদের পক্ষে অতি পছন্দনীয় জায়গা।
বাড়িতে রাত্রে শোয়ার সময় বিছানায় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করবেন সেটা মেঝেতে হোক কিংবা খাটে সর্বোচ্চ মশারি ব্যবহার করবেন আর ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারির চারিদিকে ভালো করে দেখে নেবেন কোথাও যেন বিছানার উপরে মশারি উঠে না থাকে চারিদিকে ভালো করে নিচেই খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করবে। কারণ বিষাক্ত সাপ সর্বসময় মানুষের বিছানার উপরে অর্থাৎ উষ্ণ গরম জায়গাতে থাকতে পছন্দ করে তাই তারা মানুষের বিছানাকে বেছে নেয় আর সেখান থেকেই তাদের ছোবল খেতে হয়।
এইতো কয়েকদিন আগে বারুইপুর থানার উত্তর বেলেগাছি ঝাপবেড়ে গ্রামের মোল্যা দাম্পতির একমাত্র শিশু কন্যা বছর তিন বয়সের সোনিয়া ঘুমিয়েছিল। শুক্রবার রাত বারোটা নাগাদ বিছানার মধ্যে তার হাতে একটি কালাচ সাপ কামড় দেয়। ছোট্ট সোনিয়া কাঁদতে কাঁদতে সে তার মা আনোয়ারা কে জানায়। একমাত্র মেয়ে কে সাপে কামড় দিয়েছে জানতে পেরে কি করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না। অবশেষে ওই শিশুর নানা আরফাত মোল্লা চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় সোনিয়া কে। সেখানে চিকিৎসকরা অতি তৎপরতার সাথে চিকিৎসা শুরু করেন। আক্রান্ত শিশুকে ৪০ টি সাপে কামড়ানো প্রতিষেধক ADS দেওয়া হয়। শনিবার সকাল থেকেই ওই শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওই শিশু কে কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। বর্তমানে শিশুটি সঙ্কটমুক্ত অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুর এক আত্মীয় রেজাউল হক মোল্লা জানিয়েছেন, বর্তমানে কথা বলছে শিশুটি।চিকিৎসকদের চিকিৎসায় প্রায় বিপদমুক্ত বলা যায়।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য