২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে গেল চল্লিশটির অধিক প্রাণ । বর্তমান যুগে রাজনীতির নামে চলছে শুধু প্রাণ নিয়ে খেলা। ক্ষমতার দখলে মানুষ মানুষের প্রাণ নিচ্ছে আপন পর দেখার কোনো দরকার নেই। কিভাবে নিজের ক্ষমতা ঠিক রাখা যায় সেই দিকেই মানুষ ব্যস্ত। এই যে চল্লিশটি পরিবারের ৪০ টি মানুষ দুনিয়া থেকে বিদায় নিল, চল্লিশটি মায়ের কোল খালি হলো, ৪০টি মানুষের সন্তানেরা এতিম হলো এর জন্য দায়ী কে ? যারা প্রকৃত পার্টির নেতা তারা কোনদিন এইরকম যুদ্ধক্ষেত্রে আসে না তারা এসি রুমে বসে শুধু মজা দেখে যায় আর নিজের স্বার্থ রক্ষা করে। তাদের কাছে হারজিত বলে কিছু নেই হারলেও তাদের ক্ষমতা যতটাই জিতলেও তাদের ক্ষমতা ততটাই তারা কোনদিন দেখে না হার-জিত। কিন্তু তাদের এই হারজিতের জন্য পাড়া গ্রামের মানুষ যারা বেশিরভাগই অশিক্ষিত। তারা বোম বন্দুক নিয়ে রাজনীতিতে মেতে ওঠে এবং রক্তের হোলি খেলা করে তারা অথচ তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার তারা পায় না। এতকিছু হওয়ার পরেও মানুষ কেন বোঝেনা যে রাজনীতিটা সবার জন্য নয়।
রাজ্যের কোথাও এমন জায়গা নেই যেখানে গন্ডগোল হয়নি। সর্ব জায়গায় কোন না কোন ভাবে শাসকদলের সাথে। অথচ ভোটের আগে ঘোষণা করা হয়েছিল সারা রাজ্যে কেন্দ্র বাহিনী দিয়েই ভোট করানো হবে। কিন্তু কোথায় সেই কেন্দ্র বাহিনী। যত জায়গায় ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে, প্রত্যেকটা জায়গায় মানুষের মুখে একই কথা পুলিশ প্রশাসনকে ফোন করেও তারা পায়নি। কোন রকম ভাবেই কেন্দ্র বাহিনী বা রাজ্যের পুলিশ কেউ ঘটনাস্থলে যায়নি। এর দায়ভার সম্পূর্ণ রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী এবং রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারের উপরে।
ভারত যে একটি গণতান্ত্রিক দেশ সেই গণতান্ত্রিক দেশে মানুষের অধিকার বলে আর কিছু থাকলো না যে মানুষ তার নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না তার অধিকার থাকলো কোথায় তাইতো মানুষ এতটাই ক্ষিপ্ত শাসকদলের উপরে। সর্ব জায়গায় যদি সাধারন ভাবে ভোট হত তাহলে আজকের শাসকদলের অবস্থা খুবই গুরুতর হত। তাই তারা তাদের ক্ষমতা দখলের জন্য সমস্ত জায়গায় তান্ডব চালিয়ে গেছে। যে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার শাসক দলের সাথে এক টেবিলে বসে, চা খায় সেই রাজ্যের ভোটের অবস্থা কেমন হতে পারে রাজ্যের সকল জনগণ আগে থেকেই বুঝে নিয়েছিল ভোটটা কোন দিকে যাবে আর সেটাই ঘটলো এই যে ৪০ জন মানুষের প্রাণ গেল এর দায়ভার সম্পূর্ণ রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার নিতে হবে।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য