Followers

Ad

বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় ওই ট্রেনে থাকা এক যাত্রীর সাক্ষাৎকার - isf bangla


বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় ওই ট্রেনে থাকা এক যাত্রীর সাক্ষাৎকার ঘটনাটা কি জানতে ইচ্ছা করে না ?


       সারা পৃথিবী জেনে গেছে গত শুক্রবার উড়িষ্যার বালেশ্বরে যে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই দুর্ঘটনায় প্রচুর মানুষের প্রাণহানি সাথে সাথে তার থেকেও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। বিভিন্ন হসপিটাল বা যারা একটু চলাফেরা করতে পেরেছে, তারা অবশ্যই সেখান থেকে বেঁচে বাড়ি ফিরতে পেরেছে। আমরা যারা বিভিন্ন রকম সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঘটনাটা দেখেছিলাম তখন আমরা যতটাই দুঃখে এবং তাদের সাথে সমবেদনা প্রকাশ করেছি যারা প্রকৃতপক্ষে ঘটনা স্থলে স্বচক্ষে ঘটনাটা দেখেছে তাদের মনে কি হয়েছে ।

      কোন একটা কাজের জন্য আসতে হয়েছে হাওড়া স্টেশন যেহেতু ট্রেনের অনেকটা সময় বাকি তাই অবশ্যই বসেছিলাম স্টেশনের রকের উপরে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর অবশ্যই দেখতে পেলাম কয়েকদিন আগে ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটে যাওয়া একটা মানুষ পাশের রকে বসে গল্প গুজব করছে নিজের মধ্যে একটা কৌতূহল হল যেহেতু মানুষটি ঘটনাস্থলে ছিল অবশ্যই তার কাছ থেকে কিছুটা হলেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা যাবে তাই একটু ফাঁকা থাকা জায়গাতে অবশ্যই গিয়ে বসলাম আর যে মানুষটার সাথে দেখা হয়েছে সে ঘটনায়স্থলে বেছে ফিরলেও অবশ্যই দেহের বিভিন্ন জায়গায় জোট পেয়েছে তাই হসপিটালে এসেছিলেন এক্স-রে বা ফটো তোলার জন্য ।

কতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় !

       ছেলেটার বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যেই হবে চেন্নাই থেকে বাড়ি ফিরছিল বছর ডেড়েকপর। কথায় কথায় ভুলে গিয়েছিলাম কি কাজের জন্য গিয়েছিল চেন্নাই। প্রায় ঘন্টাখানেক মত ছেলেটার সাথে কথা বললাম তার মধ্যে সবচেয়ে দুঃখজনক যে ঘটনাটা বলেছিল সেটা হলো এই একটা বাচ্চা শিশু চার থেকে পাঁচ বছর বয়স বাচ্চাটা কোথায় গিয়েছিল ঠিক জানে না তবে সঙ্গে ছিল পরিবারের অনেকেই চার থেকে পাঁচ জন সেই চার থেকে পাঁচ বছরের শিশুটির সাথে থাকার সকল মানুষই ঘটনাস্থলে মারা গিয়েছে এবং বাচ্চাটা যখন ট্রেনের কামরা থেকে একা একা হামাগুড়ি দিয়ে বার হয়ে আসছে তখন ছেলেটা দেখলো বাচ্চা শিশুটি যেন লাল রং দিয়ে হোলি খেলে বার হচ্ছে । ছেলেটা বলল আমি নিজে অনেক কষ্ট পেয়েছি। কারণ আমার গায়ের উপরে প্রচুর মানুষ এসে পড়েছিল তার শর্তেও আমি যখন বাচ্চা শিশুটিকে বার হয়ে আসতে দেখেছি, আমার নিজের কথা ভুলে গিয়ে শুধু ভাবতে লাগলাম সেই ছোট্ট বাচ্চাটার কথা, যার দুনিয়াতে কেউ নেই ভেবেছিলাম বাচ্চাটাকে নিয়ে আমার বাড়িতেই যাবো কিন্তু পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন রকম লোকজন থাকার কারণে আমি সেদিকেও কোনো রকম চেষ্টা করলাম না।

অনেকেই প্রশ্ন করতে পারে ছেলেটা কিভাবে বাড়ি ফিরল ? 

       আমি ছেলেটাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে তুমি কি করে সাথে সাথে বাড়ি ফিরতে পারলে, ছেলেটি বলেছিল যারা বেশি আহত হয়নি অর্থাৎ চলাফেরা যারা করতে পারছে অবশ্যই বালেশ্বর থেকে তাদেরকে সরকারি পাশ দিয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থল থেকে যে যার বাড়ির পথে রওনা হওয়ার একটা সুযোগ করে দিয়েছিল আর সেই সুযোগটা আমি হাতছাড়া করিনি যদিও অনেক চোট পেয়েছি তারপরেও একটাই কথা ভেবেছিলাম বাড়ি যাওয়ার পর যা হয় হবে এখানে যেসব মানুষ একেবারে অতিরিক্ত চোট পেয়েছে, কেটে ছিলে গেছে তাদের জন্য অবশ্যই হসপিটালে নিয়ে যাওয়া দরকার আমরা বাড়ির আশেপাশে নার্সিংহোম ডাক্তারখানা থেকে আমাদের শরীর সুস্থ করে তুলতে পারব। কিন্তু যারা একেবারে মরণের কাছেই তাদের আগে সেবা করা দরকার তাই সেখান থেকে আমি একরকম পালিয়ে চলে এসেছি।

বালেশ্বর এক্সপ্রেসে কি ঘটেছিল ?

       একটা মাল গাড়ির উপরে আর একটা এক্সপ্রেস ট্রেন কখন উঠে যেতে পারে, অবশ্যই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছি দুটি ট্রেনের গতি ছিল ১২৬ থেকে ২৮ কিলোমিটার ঘন্টায় জানিনা ড্রাইভাররা কেন এইরকম একটা জংশনের মুখে এতটা স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছিল তারপরে পাশের লাইনে যখন আরও একটা এক্সপ্রেস ট্রেন যায় সেই জায়গায় অবশ্যই হয়তো ড্রাইভারদের কিছুটা বললেই চলে। তারপরে যারা রেললাইনের সিস্টেম পরিবর্তন করে অর্থাৎ যারা বিভিন্ন দিককার লাইন গুলো ক্রস করায় সেই সিস্টেম যারা পরিচালনা করে তাদেরও এখানে কিছুটা ভুল বললেও চলে কারণ যখন মালগাড়ির সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল তখন পাশাপাশি দুটি এক্সপ্রেস ট্রেন মুখোমুখি আসা-যাওয়া করছে অবশ্যই একটু খেয়াল করে সিগন্যাল টা দেওয়ার দরকার ছিল।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

CLOSE ADS
CLOSE ADS