Followers

Ad

হাইওয়েব এর পাশে বসবাস করা যেমন ভাল তেমন খারাপ - isf bangla


কোন হাইওয়েবের পাশে বসবাস করা কতটা খারাপ বা কতটা ভালো !


       গত কয়েকদিন আগে কাজের সুবাদে গিয়েছিলাম দীঘার কাছাকাছি বাড়ি থেকে বার হয়ে ধর্মতলা থেকে বাস ধরে নন্দকুমার হয়ে গিয়েছিলাম প্রায় দীঘার কাছাকাছি সেখান থেকেই আমার এই অনুভূতি হল যা এখন আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করতে চলেছি। সকলে হয়তো আগে থেকেই জানেন আবার কিছু কিছু মানুষ হয়তো জানেন না তার জন্য অবশ্যই আমি আপনাদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা করব।

         বর্তমান সময়ে সব পরিবারই চায় যে এমন জায়গায় বসবাস করি যেখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত সুযোগ সুবিধা থাকবে বেশি এবং মিনিটের মধ্যে বা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যেখানে খুশি সেখানে দ্রুত পৌঁছাতে পারবো। সেইসব জায়গাগুলো মানুষ বসবাস করতে ভালোবাসে তবে এমন একটা জায়গা বেছে নেওয়া ভালো যেখানে একেবারে উন্নত নয় একেবারে অবনত নয় এই কথা বলার কারণ খোলামেলা আলোচনা করব সকলে অবশ্যই যদি একটু ভাবেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন।

হাই ওয়েবের পাশে থাকা ভালোর দিক


         যখন একটা পরিবার একটা ভালো পরিবহন ব্যবস্থার আশেপাশে বসবাস করবে তখন সেই পরিবার রাতে ভীতি এক কথায় যে কোন সময় বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হলে সাথে সাথে পেয়ে যায় বিভিন্ন রকম পরিবহন ব্যবস্থা যেমন মোটরবাইক বিভিন্ন রকম যানবাহন । কোন মানুষের হয়তো গভীর রাত্রে খুবই শরীর খারাপ হলো যদি যানবাহন ব্যবস্থা ভালো না থাকে অবশ্যই ওই রাতের বেলা সেখান থেকে সেই অসুস্থ মানুষটাকে কোনরকম কোন চিকিৎসার জন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া খুবই সমস্যা হয়ে থাকে। তাই মানুষ সর্বসময় বসবাস করতে চাই ঘনবসতি বা সুপরিমন ব্যবস্থার কাছাকাছি আবার যারা একেবারে হাইওয়ের পাশে বসবাস করে তারা বিভিন্ন রকম ভাবে ব্যবসা বাণিজ্য দোকান এইসব করেও তাদের কর্ম ব্যবস্থাকে আর্থিক উন্নতি বিভিন্ন দিক থেকে তারা সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে।

হাই ওয়েবের পাশে থাকা খারাপের দিক 


        খারাপের দিক বলতে গেলে অবশ্যই আমার চোখের সামনে ঘটা ঘটনা আপনাদের সম্মুখে উপস্থাপন করতে হয়। না হলে আপনারা হয়তো ভাবতেই পারবেনা আসল ব্যাপারটা কি হয়েছিল । আমি ছিলাম ধর্মতলা টু দীঘা বাসে পার হয়ে গিয়েছি নন্দকুমার বাস চলছে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় হঠাৎ একটা জায়গায় আসার পর দেখলাম রাস্তা অবরোধ। বাঁশটা দাঁড়িয়ে আছে। অবশ্যই অনেক গাড়ির পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম আমরা যখন বাস আধঘণ্টারও বেশি দাঁড়িয়ে আছে অবশ্যই আমি বাস থেকে নামলাম এবং গুটি গুটি পায়ে একটু আগিয়ে যেতে থাকলাম। রাস্তায় যেসব মানুষজন চলাফেরা করছে বা আসা যাওয়া করছে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম দাদা এর কারণটা কি আমার কথার জবাবের তারা বলল ঘটনাটা হচ্ছে এই আধঘন্টা আগে রাস্তার উপরে একটা এক্সিডেন্ট করেছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম কি করে এক্সিডেন্ট ঘটলো তারা আমার জবাবে বলল হাইওয়েভে রাস্তা প্রতিটা গাড়ি চলছে প্রায় ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে আর সাইট থেকে একটা লোকাল রাস্তা দিয়ে আসা বাইক তার নিজের গতিবেগ রক্ষা করতে না পেরে অবশ্যই হাইওয়েবের মধ্যে চলে যায় এবং একটা বাসের সাথে এক্সিডেন্ট করে। এইসব কথা শোনার পর আরো একটু এগিয়ে গেলাম দেখলাম সেই ভয়াবহ অ্যাক্সিডেন্টের বাইকটা যে বাইকে লোকাল রাস্তা থেকে আসা তিনজন আরোহী। এক্সিডেন্ট করে। পুলিশ প্রশাসন বাঁশটাকে আটকে দেয় কিন্তু তিনজনের মধ্যে দুজন আরোহী স্পট ডেড হয়ে যায়। এবং একজন গুরুতর আহত হসপিটাল পর্যন্ত বাঁচবে কিনা সেটাই সন্দেহ এখন আমার বলা বক্তব্য এই যে যখন একটা জিনিসের ভালো দিকটা দেখবে তার পাশাপাশি তার খারাপ দিকটাও দেখা খুবই জরুরী হাইওয়ের পাশে বসবাস করবে অথচ তুমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে না সেটা কিন্তু সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হলো এটাই। একেবারে হাইওয়ের এর পাশে যে সকল মানুষ বসবাস করে তাদের সর্বসময় একটু নিয়ন্ত্রণে থাকার দরকার। যে সকল মানুষ তারা তাদের ভালো দিকটা নিচ্ছে অথচ খারাপ দিকটা নেবেনা সেটা তো হয় না অবশ্যই সকলে তার খারাপ দিকটা যেমন নেবে ভালো দিকটাও নিতে হবে।


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

CLOSE ADS
CLOSE ADS