তেমন খুশি তেমন সাজো বাঙালীর প্রিয় খেলা
আমরা সকলেই জানি প্রতিযোগিতা মূলক খেলার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হলো যেমন খুশি তেমন সাজো, ছোটবেলায় যারা স্কুল কলেজ গিয়েছে। তারা অবশ্যই জানবে স্কুলের খেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে হাস্যকর এবং সেরা প্রতিযোগিতা হলো এই যেমন খুশি তেমন সাজো, মানুষ সর্ব খেলা দেখার পরেও তাকিয়ে থাকে সেই যেমন খুশি তেমন সাজো খেলার দিকে কখন হবে।
গত কয়েকদিন আগে আমাদের গ্রামের একটি ক্লাবে রক্তদান শিবির এবং বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকম খেলাধুলার আয়োজন করে ক্লাবটি সাথে সাথে আয়োজন করে যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতার সকাল থেকে বিভিন্ন রকম খেলা হওয়ার পরেও মানুষ তাকিয়ে ছিল কখন সেই আকর্ষণীয় খেলা হবে যে খেলাটির নাম যেমন খুশি তেমন সাজো। বিভিন্ন রকম খেলা দেখতে দেখতে কখন যে পড়ন্ত বেলা চলে আসলো আর সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার প্রতি মুহূর্তে শুরু হল যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা বিভিন্ন রকম সাজে সজ্জিত প্রতিযোগিতার দেখতে খুবই ভালো লাগছিল তার মধ্যে বিশেষ করে বর্তমান সময়ে যে এনআরসি এনপিআর বা করোনা রোগ নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত সেই আতঙ্কিত বিষয়ের উপরে কয়েকজন শিশু যেভাবে তাদের অভিনয় ফুটিয়ে তুলেছে সত্যি দেখলে অবাক লাগে মানুষ ভাবতেই পারেনি, ছোট্ট ছোট্ট কয়েকটা শিশু এইভাবে মানুষের দিলে একটা দাগ টানবে।
প্রতিযোগিতা চলাকালীন যখন জর্জমান ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের প্রতিযোগিতার মধ্যে কারা সেরা বাছাই করতে। ঠিক সেই সময়ে কিছু মানুষ অবশ্যই তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করেছে এদেরকে ফার্স্ট সেকেন্ড করা উচিত। কিন্তু না যখন প্রতিযোগিতা শেষে ঘোষণা করা হচ্ছে ফাস্ট সেকেন্ড তখন মানুষ জানতে চাইছে কে কত নম্বর পেয়েছে। এইসব জানার পর মানুষ অবশ্যই একটু কৌতূহল হলো । অবশ্যই রাতের বেলা শুরু হয় বিভিন্ন রকম নাটক এবং বাচ্চাদের জন্য নৃত্য অনুষ্ঠান সেখানেও শিক্ষামূলক সব গানের মাধ্যমে ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারা নিত্য পরিবেশন করে আর যে সকল মানুষ দর্শক হিসাবে এসেছিলেন সকলের মনে তারাও জায়গা করে নিয়েছিলেন বলাই বাহুল্য সর্ব জায়গায় এভাবেই ছোট থেকে বাচ্চাদের শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ হয়।
সর্বসময় মনে রাখতে হবে কার পাওয়াটা সবচেয়ে বড় ব্যাপার নয়। ছোট থেকে বিভিন্ন রকম অভিনয় এবং নিজেকে মানুষের কাছে তুলে ধরাটা সর্বোপরি অনেক মানুষের মাঝে স্টেজে উঠে কথা বলা বা বিভিন্ন রকম খেলাতে অংশগ্রহণ করা এইটা কিন্তু সহজ ব্যাপার নয় যে কোন জিনিসের একেবারেই বড় হওয়া যায় না আস্তে আস্তে বিভিন্ন রকম ভাবে যখন নিজেকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারবে একদিন নিজে থেকে নিজেই মনে হবে বড় একজন শিল্পী তৈরি হয়েছে বা ভালো একটা অভিনেতা তৈরি হয়েছে মানুষই বলতে পারবে তখন তাই সকলে নিজেদের শিশুদেরকে এইসব শিক্ষার মাঝে আবদ্ধ করে রাখবো আমরা সবাই।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য