Followers

Ad

কবে বকরী ঈদ ? ২৯ জুন পবিত্র বকরী ঈদ - পবিত্র ঈদুজ্জোহা বা বক্রীঈদ কেন পালন করতে হয় ?

কবে বকরী ঈদ ? ২৯ জুন পবিত্র বকরী ঈদ - পবিত্র ঈদুজ্জোহা বা বক্রীঈদ কেন পালন করতে হয় ?


       আগামী ১৩ ই আষাঢ় ২৯ শে জুন পবিত্র ইদুজ্জোহা বা বকরি ঈদ। প্রতি বছর মুসলমানদের উল্লেখযোগ্য দুটি এদের মধ্যে একটি ঈদ হল ঈদুজ্জোহা যে ঈদে সারা পৃথিবীর মুসলমান একত্রিতভাবে ঈদ অর্থাৎ খুশির দিন পালন করে। এই পবিত্র ঈদুজ্জোহা মানে প্রত্যেক মুসলমান ধনী থেকে গরিব, গরিব থেকে ভিখারি , যে যে স্তরের হোক না কেন প্রত্যেকের বাড়িতে আমরা দেখতে পাই পশু কোরবানির গোশত আর এই পবিত্র ঈদে ধনী-গরীব ভিখারি সব একত্রিতভাবে পবিত্র ঈদের নামাজ পড়তে যান সাথে সাথে একে অপরের গলায় গলায় মিলে সকলে ভাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয় পৃথিবীতে যখন মানুষ মুসলমানরা ঘৃণার পাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে ঠিক এই সময় একত্রিতভাবে মুসলমানরা যে পবিত্র ঈদ পালন করে এই ঈদ তাদের নিজেদের মধ্যে তৈরি করা কোন জিনিস নয় আল্লাহ পাক কোরআন ও হাদিসের মধ্যে যেভাবে ঘোষণা করেছে ঠিক সেই ভাবেই মানুষ এই কুরবানী দেওয়ার চেষ্টা করে তবে হ্যাঁ মানুষ বিভিন্ন রকম ভাবে তাদের কুরবানী ঈদের পশু কুরবানী করে থাকে কেউ হয়তো লোক দেখানো আবার কেউ হয়তো আল্লাহ পাক কে খুশি করার উদ্দেশ্যে।

কারা করে কোরবানি ?


      কোরআন ও হাদিস থেকে বর্ণিত আল্লাহপাক জানিয়েছেন হে মুসলমান সম্প্রদায় পবিত্র ঈদুজ্জোহার তোমরা স্বার্থ থাকলে হজ্ব কর এবং কুরবানী প্রদান কর । তাই আমরা দেখতে পাই অনেক মানুষ হজ মোবারকের না যেতে পারলেও প্রায় বেশিরভাগ লোকই কুরবানী করে থাকে এবারে আমরা যেগুলো দেখতে পাই কুরবানীর মধ্যে অনেকেই আল্লাহকে খুশি করার জন্য আল্লাহর ভয় তার যা অর্থ আল্লাহপাক দিয়েছে সেই অর্থ থেকে সে কুরবানী করে থাকে আবার অনেকে মানুষকে দেখানোর জন্য বড় বড় পশু কুরবানী করে থাকে মানুষের কাছে নাম কেনার জন্য।

লোক দেখানো কোরবানি !

    একজন ধনী অর্থবান মানুষ তার অর্থ থেকে যখন কুরবানী দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয় তখন আমরা দেখতে পাই সবচেয়ে বড় পশু এবং সবচেয়ে দামি পশু কিনে নিয়ে আসে তার থাকা অর্থ দিয়ে মানুষের কাছে ভালো নাম পাওয়ার জন্য সে দেখেনা তার টাকাটা হারাম কিংবা হালাল ভাবে হারাম হোক আর হালাল হোক টাকাটা তো আর কেউ দেখেনা দেখে সকলে টাকা দিয়ে কেনা পশু তাই তারা হারাম টাকার হোক হালাল টাকার হোক দামি এবং বড়সড়ো পশু কিনে এনে। আবার অনেকে বড় কুরবানী দেওয়ার কারণ হলো সেভাবে এই কুরবানির পশুর গোশত সকল আত্মীয় স্বজনের দিল্লি করার পর যেন বাড়িতে অনেক গোস্ত থাকে এবং অনেকদিন ধরে খেতে পারি তার জন্য কিছু ধরনের মানুষ বড় ধরনের পশু কোরবানি করে থাকে।

     আবার কিছু মানুষকে আমরা দেখতে পাই যারা আল্লাহর ভয়ে এবং আল্লাহকে খুশি করার জন্য কুরবানী করে থাকে তারা যে পশ ু কোরবানি করে থাকে সেই পশুটাকে বছর কি বছর ধরে পেলে পুষে এবং তার প্রতি অনেক যত্নবান হয়ে এবং কুরবানী দেওয়ার সময় তাদের অন্তর্কে বুঝিয়ে তারপরে তারা কোরবানি দেয়। আল্লাহ পাক বলেনি তুমি পশু কোরবানি দাও আল্লাহ পাক করানো হাদিসে জানিয়েছে তোমরা তোমাদের মধ্যে থাকা সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কুরবানী করো বর্তমান সময়ে মানুষ সেদিকে না তাকিয়ে কোরবানির সময় আসার সপ্তাহখানেক সপ্তাহ দিয়ে আগে হাট থেকে পশু নিয়ে এসে কুরবানী করে জানিনা এই কুরবানী আল্লাহর কাছে কতটা খুশির বা কতটা ভালো এইসব মানুষগুলো এরকম ভাবে কুরবানী করে থাকে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

CLOSE ADS
CLOSE ADS