বাঙালি তথা মানবজাতির কাছে রবীন্দ্রনাথ একটি বিশেষ নাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় সমান প্রতাপের সাথে বাংলা সাহিত্য, ভাষা ও সংস্কৃতিতে সমাসীন রয়েছেন। তাঁর সর্বতোমুখী প্রতিভা, জ্ঞানের গভীরতা তাকে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।তিনি এসেছিলেন ক্ষণকালের জন্য কিন্তু হয়ে রয়েছেন সর্বকালের। ভারতীয় হয়েও তিনি বিশ্বের দরবারে আসন গেড়ে নিয়েছেন নিজের মর্যাদা ও যোগ্যতা বলে। ‘বিশ্বকবি’ অভিধায় অভিসিক্ত হয়ে তিনি আছেন সকল মানুষের হৃদয়জুড়ে।
রবীন্দ্র-দর্শন যে জীবনবোধের কতবড় খনি, তা যিনি রবীন্দ্রনাথকে আত্মস্থ করতে পেরেছেন , তিনিই বুঝেছেন। বাঙালি ঘরে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার পরিচয় হয় ,সেভাবেই তাকে চেনানো হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। তাই নতুন করে কেবল ২৫ শে বৈশাখ উপলক্ষ্য়ে বাঙালির সঙ্গে রবীন্দ্র চেতনার পরিচিতি ঘটানোর কিছু থাকে না। তবে 'রবি'মাসের এই দিনটি বাঙালিকে আজও উস্কে দেয় 'রবি ভাবনায়'।
তিনি বাঙালির কাছে এক মহীরূহের মতো। যাঁর দর্শনের ছায়া মেলে ধরেছে তাঁর উপন্যাস, গান কবিতাগুলি। আর সেই সাহিত্যই জীবনের বিভিন্ন পদক্ষেপে উজ্জিবীত করে চলেছে একটা জাতিকে। সুখ হোক বা দুঃখ, অবসাদ বা সামাজিক অবক্ষয়।
এই আশ্চর্য বিশ্বে কালের গর্ভ থেকে কখনো কখনো এমন কিছু অত্যাশ্চর্য, অভাবনীয় এবং বিরল প্রতিভার জন্ম হয় যারা তাদের কর্মে, ব্যক্তিত্বে ও মহত্বে সময়কেও ছাপিয়ে গিয়ে বিশ্বে চির অমর হয়ে থাকেন। মানবজাতির কাছে এমনই এক শ্রেষ্ঠ দান কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিশ্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমনই এক দানবীয় প্রতিভা যিনি সর্বযুগে সর্বকালে চির প্রাসঙ্গিক, চির নবীন ও চিরন্তন রূপে শাশ্বত।
পীরজাদা নওসাদ সিদ্দিকী
বিধায়ক ভাঙড় বিধানসভা
চেয়ারম্যান আইএসএফ
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য