গভীর রাতে ফুরফুরা দরবার শরীফে পুলিশের হানা
দফায় দফায় এসে ফুরফুরা শরীফে থাকা ছাত্রদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া। সাথে সাথে ফুরফুরা দরবার শরীফের সমস্ত পীর সাহেব পীরজাদাদের অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
গত কয়েকদিন আগে পঞ্চায়েত গঠনকে কেন্দ্র করে পুলিশ যে অত্যাচার করেছিল ফুরফুরা দরবার শরীফে সেই থেকে প্রায় প্রতিনিয়ত পুলিশের টহলদারি দেখা যায় ফুরফুরা দরবার শরীফের বিভিন্ন জায়গায়। পঞ্চায়েত গঠনের কাজ তো মিটে গেছে তারপরে কমছে না কেন পুলিশের টহলদারি । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহিরাগত ছাত্ররা আসেন ফুরফুরা শরীফে পড়াশোনা করতে, তাদেরকেও পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে এবং তাদেরকে হেনস্তা করছে। ডিউটি রত পুলিশ অফিসারদের যখন পীরজাদা গন প্রশ্ন করতে যাচ্ছে তাদের সাথে কোনো রকম কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তারা তাদের অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
যে ফুরফুরা শরীফে ব্রিটিশ আমল থেকে নিয়ে আজও পর্যন্ত কোন শাসক দল কোনরকম কোন অত্যাচার বা কোন পীর সাহেব পীরজাদা দের সম্মানহানী করেনি সেইসব পীরজাদা পীর সাহেবদের আজ বর্তমান শাসক দলের পুলিশ বিভিন্ন রকম ভাবে হেনস্ত করছে সাথে সাথে তাদের ওপর বিভিন্ন রকম ভাবে অত্যাচার করে চলেছে। এর জন্য দায়ী কে বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী। এতদিন কোন পীর সাহেব পীরজাদারা রাজনীতিতে আসেনি তাই তাদের উপর কোন অত্যাচার করা হয়নি। আজ পীরজাদারা রাজনীতিতে আসার কারণে তাদের উপরে বিভিন্ন রকম ভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে। কারণ তারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ খেটে খেকো মানুষের উপর যে অত্যাচার তার প্রতিবাদ করতে লেগেছে তাই ফুরফুরা শরীফের পীর সাহেব পীরজাদা দের উপর পুলিশের এই অত্যাচার। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা গন যদি আজও রাজনীতিতে না আসতো তাহলে বর্তমান শাসক দল তাদের যে সাধারণ মানুষের উপরে অত্যাচার সেই অত্যাচার করেই যেত আর সাধারণ ঘেটে কোন মানুষ অবশ্যই চোখ বুজে সহ্য করতে হতো সেই অত্যাচার করতে পারছে না বলেই আজকের ধর্মীয় স্থানগুলোতে আঘাত হানা হচ্ছে।
সামনে ২০২৪ এর লোকসভা ভোট তাই এভাবে অত্যাচার করে তাদের প্রতিবাদকে রুখতে চাইছে বর্তমান শাসক দল। কিন্তু বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষ আর অবুঝ নেই। মানুষ বুঝতে শিখেছে, তারা তাদের অধিকার বুঝে নিতে শিখেছে তাই কোন রকম ভাবে তাদেরকে আর অত্যাচার করা যাবে না। সকল মানুষের উদ্দেশ্যে বলবো আপনারা সজাগ হন আসছে লোকসভা ভোটে তাদের উপরে শাসন ক্ষমতা তুলে দিন। যারা আপনাদের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে পাশে থাকবে।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য