ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা আজও দেখা যায় দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায়
ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা আজও দেখা যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কিছু এলাকায়। প্রাচীন যুগ থেকে মানুষ ঘোড়া পালন করতো যুদ্ধক্ষেত্রে কাজে লাগানোর জন্য তবে বর্তমান সময়ে মানুষ ঘোড়া পোষে একটাই কারণে বছরে কিছু জায়গায় ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা হয় সেই সব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য কারণ বর্তমান সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করেনা করা হয় না কোন ঘোড়া। তবে কিছু কিছু মানুষ যারা ঘোরা কে লালন পালন করতে ভালোবাসে তারা আজও ঘোড়া বাড়িতে রাখে। বর্তমান সময়ে এই ঘোড়ার পিছনে আয় এর থেকে ব্যয় অধিক পরিমাণ বেশি তারপরেও মানুষ এই ঘোড়া পুষে থাকে বছরে দুটো চারটে মাঠে এই ঘোড়া নিয়ে দৌড় করানো হয় সেখান থেকে যেসব পুরস্কার গুলো পায় তাতে করে এক মাসের ঘোড়ার খাওয়ার টাকাও ওঠেনা। তারপরেও মানুষ এই ঘোড়া লালন পালন করে আর লালন পালন করে একটি কারণে সে কারণটা হলো মানুষের কাছে সুনাম পাওয়ার জন্য একটা ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রচুর লোকের সমাগম হয়। আর সেই প্রতিযোগিতায় তাদের মুখে সর্বদা যেসব ঘোড়াগুলো প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় হয় তাদের নাম শুনতে পাওয়া যায়। আর তাই বর্তমান সময়ে এই ঘোড়া লালন পালন করে থাকে।
যারা ধনী ব্যক্তি তারা ছাড়া এই ঘোড়া লালন পালন করতে পারবে না কারণ একটা ঘোড়ার পিছনে মাসিক যে ব্যয় হয় তাতে একটা গরীবের সংসার চলে যাবে তাছাড়া সর্ব সময় ওই ঘোড়াটাকে লালন পালন করার জন্য একটা ঘোড়ার রাখাল রাখতে হয় মাইনে দিয়ে সর্বসময় যত্ন নেওয়ার জন্য। আর সর্বশেষে যখন ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার সময় চলে আসে তখন আরো বেশি পরিমাণে খরচা করতে হয়, একটা ঘোড়ার পিছনে কারণ বর্তমান সময় ছোটে না কোন ঘোড়া ছোটে ঘোড়ার নামে গুনিন। যখন ঘোড়া ছুট শুরু হয় তখন অনেকগুলো ঘোড়া ছোটার জন্য যেখানে মাঝখান থেকে নিশানা করা থাকে অনেক ঘোরা হয়তো সঠিকভাবে ঘুরে আসে আবার অনেক ঘোরা হয়তো মাঝখান থেকে অন্য জায়গা থেকে তাড়াতাড়ি চলে আসে এইসব বিষয়ে অনেক রকম ঝামেলাও হয় যারা এই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়ে থাকে তাদের মধ্যে তাই বর্তমান সময় যারা এই প্রতিযোগিতা গুলো দেয় এবং যেসব ঘোড়ার মালিকেরা এইসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে উভয়ের পক্ষে সম্পূর্ণ অন্যরকম কাজ হয় তাই সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে এইসব প্রতিযোগিতা গুলোকে সমাজ থেকে দূর করা।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য